মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী পাচ্ছে না বিজেপি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। ভবানীপুরে প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তুমুল জনপ্রিয় এ নেত্রীর বিজয় সময়ের ব্যাপার মাত্র। তার বিরুদ্ধে নির্বাচনের দাঁড় করানোর মতো প্রার্থী পাচ্ছে না বিজেপি। এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস। 

 

খবরে বলা হয়, এবার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকার কারণে উপনির্বাচনে অংশ নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর তাই এখন ভবানীপুরে উপনির্বাচন। সেখানে পদত্যাগ করেছেন বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ওই আসনে সেখানে প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি এখানে কাকে প্রার্থী করবে তা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে জোর আলোচনা চলছে। বিভ্রান্তিও স্পষ্ট হচ্ছে। ভোটে যাবে, না আইনি পথে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করবে তা নিয়েও দোটানায় রয়েছে।

সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও ওই নির্বাচন নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। একাধিকবার ইভিএম মেশিন নষ্ট, সময় ক্ষেপণ ও নির্বাচনী কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি শিবিরের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত অল্প ভোটের ব্যবধানে শুভেন্দুকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সেই ফলাফল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে এখন মামলা চলছে।  

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, এই পরিস্থিতিতে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, দল বললে নন্দীগ্রামের মতো ভবানীপুরেও তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে প্রস্তুত। তাই এই মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আবার কী মমতার বিরুদ্ধে শুভেন্দু প্রার্থী হবেন?‌

তার ওই বক্তব্যে বুঝা যাচ্ছে, স্থানীয় কোনো বিজেপি নেতা মমতার বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়াই করার সাহস পাচ্ছেন না। শুধু শুধু গো হারার কালিমা কেউ গায়ে মাখতে চাচ্ছেন না। বিজেপি এখনও ভবানীপুরের প্রার্থী ঠিক করতে পারেনি।

মঙ্গলবার বিজেপি এই নিয়ে বৈঠকে বসবে। সুতরাং প্রধান বিরোধী দল এখনই ব্যাকফুটে বলে মনে করা হচ্ছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, এ উপনির্বাচন চাননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, ‘লোকাল ট্রেন চলছে না। বাজার–হাট বন্ধ। বিধিনিষেধ আছে। রাতে কার্ফু আছে। নির্বাচন কমিশন কী করে মেনে নিচ্ছে যে, নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ আছে? পৌরসভার নির্বাচন হচ্ছে না।’

পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি আরও বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে,নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হয়ে গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিতিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করে দেওয়া। বাকি চার কেন্দ্রে যে কমিশন উপনির্বাচন ঘোষণা করল না, সেখানকার জনগণের কী অপরাধ?’‌

এই বিষয়ে পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, ‘বিজেপি জনবিচ্ছিন্ন। তাই এসব বলছে। যে ক’টা কেন্দ্রে ভোট হওয়ার কথা, সব ক’টাতেই আমরা ভোট চাইছি। নির্বাচন কমিশন সব দলের কথা শুনে তার পরে এই সময়ে ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে। এতে বিজেপি নেতাদের এত গায়ের জ্বালা কেন? নির্বাচন কমিশন কাউকে দয়া করছে না।’‌

Copyright © priyokagoj.com All Right Reserved.
Developed By Monoputo