বিশ্ব পুরুষ দিবসের প্রাক্কালে এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন ঢাকা জেলার উদ্যোগে "পুরুষের প্রতি আইনি বৈষম্য: আমাদের করণীয়" শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব এর অডিটোরিয়ামে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ঢাকা জেলা সহ-সভাপতি জনাব ইফতেখার হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এইড ফর মেন ফাউন্ডেশনের এর সভাপতি জনাব ডঃ আব্দুর রাজ্জাক খান। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এইড ফর মেন ফাউন্ডেশনের ঢাকা জেলার সভাপতি জনাব হাদিউজ্জামান পলক।
আলোচনায় প্রধান অতিথি ড. আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, "শুধুমাত্র নারীর অভিযোগে প্রমাণ ছাড়া অন্যায় ভাবে পুরুষকে গ্রেপ্তার করা বন্ধ করতে হবে। মিথ্যা হয়রানি নির্যাতন এর মামলা বন্ধের সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।"
আলোচনায় বিশেষ অতিথি মন পরিবার এর ফাউন্ডার জনাব ইমরান শরীফ বলেন,
"সন্তানের উপর পিতা ও মাতার আইনগত অধিকার সমান, কিন্তু আদালতের সঠিক আদেশ থাকা সত্ত্বেও দেখা যায় সন্তানের উপর মা পূর্ণ অধিকার চালিয়ে, বাবাকে সন্তানের সাথে দেখা পর্যন্ত করতে দেয়া হয় না। এর আইনগত প্রতিকার থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।"
বিশেষ অতিথি ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান বর্তমান প্রেক্ষাপট আলোচনা সাপেক্ষে আইন পরিবর্তনের প্রয়োজন বলে মনে করেন। তিনি তরুণ প্রজন্মকে পুরুষের ন্যূনতম অধিকার আদায়ের সোচ্চার হবার তাগিদ দেন। মিথ্যা যৌতুকের মামলা হওয়ার পরেও আদালতে একজন পুরুষকে আপোষ করতে বাধ্য করা হয় যা একেবারেই অনৈতিক।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ লোকমান, মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম, চন্দন কুমার দাস, রাহাত হোসেন রাহাত, আমিনুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, হাফেজ মোহাম্মদ সোলয়মান প্রমুখ।
পুরুষ দিবসে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম তার বক্তব্যে বলেন, "পুরুষের প্রতি ঘটে যাওয়া আইনি ও সামাজিক বৈষম্য তুলে ধরেন এবং পুরুষের অধিকার রক্ষায় জাতীয়ভাবে "জাতীয় পুরুষ দিবস" পালনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো দাবি জানান।"
সবশেষে উক্ত আলোচনা সভার সভাপতি মোঃ হাদিউজ্জামান পলক বলেন, "আমরা নারী পুরুষের সমান অধিকার চাই। লিঙ্গ নিরপেক্ষ আইন চাই। নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি পুরুষ মন্ত্রণালয় চাই। প্রতি বছর রাষ্ট্রীয় ভাবে বিশ্ব পুরুষ দিবসে সফল পুরুষ ও ব্যক্তিত্বকে বিশেষ অবদানের জন্য স্বীকৃতি দিতে হবে। মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলায় তদন্ত না করেই গ্রেফতার নিঃসন্দেহে পুরুষের উপর আইনি নির্যাতন। এ ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে আইনের অপব্যবহার রোধ করতে হবে।"
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, গবেষক, আইনজীবী, লেখক, মানবাধিকার কর্মী, ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।