হাসান মাহমুদ নাকি নাহিদ রানা। ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার তুলে নেবেন কে? এনিয়ে সুস্থ একটি প্রতিযোগিতা হচ্ছিল।
শেষ পর্যন্ত মীর হামজাকে ফিরিয়ে জিতলেন হাসান মাহমুদই। পেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফারের স্বাদ। দুই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। তাই জয়ের জন্য ১৮৫ রানের লক্ষ্য পেয়েছে টাইগাররা।
রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করে ২৬২ রান।
আগের দিন খুররাম শেহজাদ আউট হলে খেলা শেষ হয়ে যায়। এরপর চতুর্থ দিনের শুরুতে সায়েম আইয়ুবের সঙ্গী হন শান মাসুদ। দিনের নবম ওভারে তাদের জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। ড্রাইভ করতে গেলে মিড অফে তার দারুণ ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩৫ বলে ২০ রান করে ফেরেন আইয়ুব।
টানা ছয় ওভার করার পর তাসকিনকে সরিয়ে আনা হয় নাহিদ রানাকে। এই পেসার দুর্দান্ত এক স্পেলই করেন। টানা তিন ওভারে উইকেট পান। শুরুটা হয় পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদকে দিয়ে।
গুড লেংথের বল বেরিয়ে যাওয়ার সময় ড্রাইভ করতে যান শান মাসুদ, কিন্তু বল ব্যাট ছুঁয়ে যায় উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। ৩৪ বলে ২৮ রান করেন তিনি। পরের ওভারে এসে বাবর আজমও আউট হন। ১৮ বলে ১১ রান করার পর স্লিপে সাদমান ইসলামের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
পরের বলেই আরও একটি উইকেট পেয়ে যেতে পারতেন নাহিদ। কিন্তু মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই রিজওয়ানের তুলে দেওয়া ক্যাচ বাঁ দিকে সরে নিতে পারেননি সাদমান। এরপরও অবশ্য উইকেট পেয়েছেন নাহিদ।
১০ বলে ২ রান করা সৌদ শাকিল নাহিদের বলেই ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক লিটনের হাতে। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে অবশ্য বাংলাদেশকে ভুগতে হচ্ছে রিজওয়ানের ক্যাচ ছাড়ার জন্য। দ্বিতীয় সেশনে নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই পঞ্চম বলে রিজওয়ানকে (৪৩) ফেরান হাসান। অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার। পরের বলে স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ আলী।
আবরার আহমেদকে নিজের চতুর্থ শিকারে পরিণত করেন নাহিদ। এরপর রানের গতি বাড়াতে থাকেন আগা সালমান। কিন্তু খুব বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেননি পাকিস্তান লিড। অপরাজিত থাকেন ৪৭ রানে। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়ে হাসানকে ফাইফারের স্বাদ দিয়ে যান মীর হামজা। ৫ উইকেট নিতে কেবল ৪৩ রান খরচ করেন হাসান। নাহিদ ৪৪ রানে নেন ৪ উইকেট। বাকি এক উইকেট যায় তাসকিন আহমেদের ঝুলিতে। সবগুলো উইকেট নিয়ে দারুণভাবে মেলে ধরল বাংলাদেশের পেস আক্রমণ।