আশুলিয়ায় আজও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

ঢাকার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে আজ অধিকাংশ পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ সমস্যাসহ নানা সমস্যার কারণে বেশ কয়েকটি কারখানার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এদিকে সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে গতকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা।  

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন সড়ক অবরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা এখনো সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। পাওনাদি পরিশোধ না করা পর্যন্ত তারা সড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

শিল্পপুলিশ জানায়, আজ শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তবে শিল্পাঞ্চলের জিরাবো রোডে অবস্থিত এআর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেড ব্যতীত বাকি সব কারখানা চালু রয়েছে। এআর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেড স্ববেতনে সাধারণ ছুটি রয়েছে। এছাড়া টঙ্গাবাড়ি এলাকায় ম্যাংগো টেক্স লিমিটেড স্ববেতনে ছুটি রয়েছে, তবে ওই অঞ্চলের মন্ডল নিটওয়্যার, ন্যাচারাল ডেনিম, ন্যাচারাল ইন্ডিগোসহ অন্যান্য সব কারখানা চালু রয়েছে।

এদিকে আশুলিয়ার জামগড়া, নরসিংহপুর এলাকায় এনভয়, দ্য রোজ, হামীম, শারমীন, মেডলার, অনন্তসহ অন্যান্য সকল কারখানা চালু রয়েছে। তবে ‘সেতারা’ স্ববেতনে সাধারণ ছুটি রয়েছে। অন্যদিকে বাইপাইলের স্কাইলাইন কারখানা স্ব-বেতনে ছুটি রয়েছে তবে চালু রয়েছে অন্যান্য সকল কারখানা।  

তবে গতকাল সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বাইপাইল এলাকায় এবং ডিওএইচএস সামনে মহাসড়কটির পয়েন্ট দুটিতে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করে বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা। পরবর্তীতে ডিওএইচএস এর সামনে থেকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সরে গেলেও বাইপাইল এলাকায় অবস্থান নিয়ে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বার্ডস গ্রুপের এক শ্রমিক জানায়, গতকাল ৩০ সেপ্টেম্বর আমাদের আইনগত পাওনাদি পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো ধরনের পাওনাদি পরিশোধ না করে সকল শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করে। আমরা আমাদের পাওনাদি না পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ প্রত্যাহার করবো না।  

এ ব্যাপারে শিল্পপুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।  

প্রসঙ্গত, গত ২৮ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার বার্ডস গ্রুপের সকল কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়। এ সময় শ্রমিক কর্মচারীদের আগস্ট মাসের বেতন সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখ ও সার্ভিস বেনিফিটসহ ক্ষতিপূরণ ৩০ সেপ্টেম্বর পরিশোধের দিন ধার্য করা হয়। চুক্তিমতো শ্রমিকদের বেতনের টাকা পরিশোধ করলেও ৩০ সেপ্টেম্বর সার্ভিস বেনিফিটসহ ক্ষতিপূরণের টাকা দানের আরও তিন মাস সময় চায় প্রতিষ্ঠানটি। নির্ধারিত টাকা পরিশোধ না করায় শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। যা এখন পর্যন্ত চলছে। 

Copyright © priyokagoj.com All Right Reserved.
Developed By Monoputo