নীলফামারীর জলঢাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে প্রায় ৬০টি ঘর। নি:স্ব হয়ে পৌষ মাসের শীতে নিদারুণ কষ্টে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারগুলো।
বুধবার রাত ১০টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের উত্তর বেরুবন্দ গ্রামে।
খবর পেয়ে জলঢাকা ও নীলফামারী সদর থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বসতবাড়ির পাশাপাশি গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি, ধান-চাল, আসবাবপত্র পুড়ে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে পরিবারগুলো।
শিমুলবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুল হক জানান, বুধবার রাতের অগ্নিকাণ্ডে ১৯টি পরিবার একেবারেই নি:স্ব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের থাকার ঘর, গোয়ালঘর, রান্নাঘরসহ প্রায় ৬০টি পুড়ে গেছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও ৭টি পরিবার আগুন থেকে বাঁচার জন্য তাদের বসতভিটা ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান হামিদুল হক।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নীলফামারী সিনিয়র স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, রান্নাঘরের চুলার আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রাতের হিসাবে আমরা ১৮টি পরিবারের ৩০-৩২টি ঘর পুড়ে যাওয়ার তালিকা পেয়েছি। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ণয় করা হয়নি।
জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিমুলবাড়ী ইউনিয়নে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠাই এবং ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে তাদের সহযোগিতা করার জন্য বলি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান বলেন, রাতেই ঘটনাস্থলে আমি গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কম্বল ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছি।