পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠা নন্দীগ্রামেও জয় পেলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রোববার সকালে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকে এই আসনে ক্ষণে ক্ষণে পাল্টাতে থাকে চিত্র। প্রথমে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা।
২০১১ সালে মমতা যখন পশ্চিমবঙ্গে প্রথম ক্ষমতায় আসেন সেবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল নন্দীগ্রাম। সে সময় মমতারই সহযোগী শুভেন্দু অধিকারী এবার ছিলেন তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দুকে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে হারালেন তিনি। শুভেন্দুর চেয়ে এক হাজার ২০১ ভোট বেশি পেয়েছেন মমতা।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯২ আসনের ফলাফল গণনা চলছে এখনো। শুরু হয়েছে সকাল আটটায়। সকাল থেকে ভোটের খবরের বড় আকর্ষণ ছিল নন্দীগ্রাম। সেখানে দীর্ঘ সময় পিছিয়ে ছিলেন মমতা। তবে বেলা দুইটার পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। দুপুরের দিকে এগিয়ে গেলেও আবার পরে সামান্য ভোটে পিছিয়ে পড়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তাঁর এই জয় বড় স্বস্তির খবর হয়ে এসেছে তৃণমূলের জন্য। দলীয় প্রধানের সঙ্গে বিজয়ের পথে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও।
ইতিমধ্যে তৃণমূল জয়ের পথে থাকায় বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক ও পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিজেপির পরাজয় মেনে নিয়েছেন।
চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগে কৈলাস সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘জয় হলে সেটা মমতারই জয় হয়েছে।’ তবে তিনি এ কথাও বলেছেন, বাবুল সুপ্রিয় ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পরাজয়কে তিনি মেনে নিতে পারছেন না।
এদিকে মমতার এই বিপুল বিজয়ে উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব মমতাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘বিজেপির ঘৃণার রাজনীতিকে হারালেন মমতা। অভিনন্দন মমতাকে।’