আমরা পুরোপুরি জবাব দেওয়ার অধিকার রাখি, যুক্তরাষ্ট্রকে তালেবান

নির্ধারিত সময়ের পর কোনো মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে অবস্থান করলে এর প্রতিক্রিয়া দেখানোর অধিকার রয়েছে বলে জানিয়েছে তালেবান। 

 

বেঁধে দেওয়া সময়ের পরও সাড়ে ছয়শ মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষোভ জানিয়েছে সংগঠনটি।

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র আগামী দু’সপ্তাহে মূল বাহিনীর সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করার পরও কূটনীতিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে সেখানে ৬৫০ জন মতো সেনা রাখতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে তালেবানের মুখপাত্র সুহেল শাহীন আল-জাজিরাকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের পর কোনো মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে অবস্থান করলে এর প্রতিক্রিয়া দেখানোর অধিকার তালেবানের আছে।

তিনি বলেন, আমেরিকা যদি তা করে তবে দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধ বন্ধে কাতারের দোহায় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটন ও তালেবানের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে তা স্পষ্ট লঙ্ঘন হবে।

শাহীন আরও বলেন, আমেরিকার সঙ্গে দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে আলোচনার পর আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছাই। সামরিক বাহিনী, উপদেষ্টা এবং ঠিকাদারদের প্রত্যাহার করে নিতে একমত এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে তারা।

তার মতে, ওয়াশিংটন এর ব্যতিক্রম কিছু করলে তা হবে চুক্তির লঙ্ঘন। আমরা পুরোপুরি জবাব দেওয়ার অধিকার রাখি। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি মেনে চলছি। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে কোনো হামলা করিনি।

১১ সেপ্টেম্বরের পরও ৬৫০ সেনা আফগানিস্তানে রাখার পরিকল্পনা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারাসহ কোয়ালিশন বাহিনীর বেশিরভাগ সেনাই ৪ জুলাইয়ের মধ্যে কিংবা তার পরপরই আফগানিস্তান ছাড়বে।

আফগানিস্তানে অনেকটা স্থায়ীভাবে রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা করা এই মার্কিন সেনারা সেখানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এবং কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিধানের কাজ করবে।

তাছাড়া, তুরস্কের সঙ্গে একটি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র বিমানবন্দরে কাউন্টার রকেট (সি-র‌্যাম), গোলাবারুদ এবং মর্টার সিস্টেম রাখার পাশাপাশি সেগুলো চালানোর জন্য সেনা রাখতে রাজি হয়েছে।

একইসঙ্গে বিমানবন্দরে হেলিকপ্টার সহায়তা দেওয়ার জন্য কিছু ক্রু রাখারও পরিকল্পনা আছে যুক্তরাষ্ট্রের।

Copyright © priyokagoj.com All Right Reserved.
Developed By Monoputo