কারাগারে যেতেই হলো হাজি সেলিমকে

দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের রায়ে ১০ বছরের দণ্ডিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যকে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

রোববার শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৭-এর বিচারক শহিদুল ইসলাম জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে যে কোনো শর্তে জামিনের আবেদন করেন হাজি মোহাম্মদ সেলিম।

আবেদনে হাজি সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালে ওপেনহার্ট সার্জারির সময় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাকশক্তিহীন অবস্থায় রয়েছেন হাজি সেলিম। তিনি দেশ ও বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলে থাকলে চিকিৎসার অভাবে ও বাক-শক্তি না থাকায় যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণে যে কোনো শর্তে তার জামিন আবেদন করছি। জামিন পেলে তিনি পলাতক হবেন না। তাই আপিল শর্তে আত্মসমর্পণ পূর্বক তার জামিন আবেদন করছি।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় হাজি সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। হাইকোর্ট রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৭-এ আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। 

হাজি সেলিম এখন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য। এ মামলায় ১৩ বছর আগে বিচারিক আদালতের রায়ের পর তাকে মাসখানেক কারাগারে থাকতে হয়েছিল। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিনে বের হন তিনি। মাঝের এ সময়ে তিনি দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। 

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে এক যুগ আগে বিচারিক আদালতের রায়ে হাজি সেলিমের ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। এ আপিলের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ মার্চ হাইকোর্ট রায় দেন। তাতে তাার ১০ বছরের সাজা বহাল রাখা হয়। ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এ আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর পর হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়সহ নথিপত্র ২৫ এপ্রিল বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়।

Copyright © priyokagoj.com All Right Reserved.
Developed By Monoputo