সিঙ্গেল থেকে ডাবল? ‘প্রয়োজন হলে’ ভেবে দেখবেন জয়া

বয়স পেরিয়েছে চল্লিশ, জীবন ভরপুর কাজ-খ্যাতিতে। তবু অভিনেত্রী জয়া আহসানের ব্যক্তিজীবন নিয়ে ভক্ত আর সংবাদকর্মীদের আগ্রহের কমতি নেই।

তাদের জন্য অভিনেত্রীর উত্তর হল, একাকী জীবন থেকে সংসার জীবনে প্রবেশ করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত তার নেই।

সম্প্রতি সাভারের লাজপল্লীতে অভিনয় শিল্পী সংঘের আয়োজনে বৈশাখী উৎসবে গিয়েছিলেন জয়া। সেখানে গ্লিটজের সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে আসে জয়ার ব্যক্তিজীবন প্রসঙ্গ।

গ্লিটজকে জয়া বলেন, “আমার এই জীবন আমি খুব উপভোগ করছি। পরিবার তো শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রী বা পার্টনার হলেই হয় না। আরও অনেকেই আছে। আমার মা আছে, বোন আছে, পরিবারে যেসব লোক কাজ করে তারা আছে, আমার পালিত পশু আছে, যাদের সঙ্গে সময় কাটাতে আমি খুবই উপভোগ করি।“

তাহলে কি জীবন এভাবেই কেটে যাবে?

অভিনেত্রীর উত্তর, “যদি কখনো মনে হয় এই সিঙ্গেল জীবন থেকে ডাবল হওয়া প্রয়োজন বা দরকার আছে তাহলে সেটা সময় হলে ভেবে দেখব। এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমি খুব ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিক থেকে। এই অবস্থার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি আমার আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই। “

এই বয়সেও চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখতে পারার রহস্যটা কী?

জয়া বলেন, “তরুণ কতটা রয়েছি আমি ঠিক জানি না। তবে আমি আমার মত থাকছি। এই সময়টা খুব করে উপভোগ করছি।“

নূরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘ডুবসাঁতার’ দিয়ে ২০১০ সালে জয়া নাম লেখান বড় পর্দায়। এর আগে মডেল এবং টেলিভিশন নাটকে পাওয়া যেত তাকে। অবশ্য ২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’ সিনেমায় ছোট একটি চরিত্র তিনি করেছিলেন।

২০১০ সালের পর জয়ার সিনেমা ক্যারিয়ার মূলত গড়ে ওঠে কলকাতায়। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। কলকাতা ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন চারবার।

কিছুদিন আগে ঢাকায় মুক্তি পেয়েছে জয়া অভিনীত ‘পেয়ারার সুবাস’। আর কলকাতার হলে এসেছে এ অভিনেত্রীর ‘ভূতপরী’।

জয়া বর্তমানে ব্যস্ত আছেন নির্মাতা আশফাক নিপুণের পরিচালনায় একটি ওয়েব সিরিজ নিয়ে ৷ এটি হবে দেশে জয়ার প্রথম ওয়েব সিরিজ।

এছাড়া কলকাতায় অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় শিগগিরই ‘ডিয়ার মা’ নামে একটি সিনেমার শুটিং শুরু করতে চলেছেন তিনি। আপাতত বলিউডের কোনো কাজ হাতে নেই জয়ার। 

Copyright © priyokagoj.com All Right Reserved.
Developed By Monoputo