যে কারণে মুজারাবানির দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন তাসকিনও

হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। হাফসেঞ্চুরি এসেছে তিনটি আর দেড়শ রানের অনবদ্য মহাকাব্যও দেখেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

 

ব্যাট দিয়ে সেই মহাকাব্য লিখেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যার জন্য চলমান কোপা আমেরিকা আর ইউরো থেকে মাথা ঘুরিয়ে জিম্বাবুয়ের দিকে নিয়েছিলেন ক্রীড়ামোদীরা।

সেটিই তো হবে। কারণ ৮ রানে ২ উইকেটে হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দল অলআউট হলো ৪৬৮ রানে! যেখানে ১০ ব্যাটসম্যানকে আউট করতে ঘাম ছুটে গেছে জিম্বাবুয়ান বোলারদের।

পেস বোলিং স্পেশালিস্ট হিসেবে যাকে দেশ থেকে উড়িয়ে নিয়ে গেল বাংলাদেশ, সেই তাসকিন আহমেদের কাছেই অসহায় হয়ে পড়েছিলেন স্বাগতিকরা।

যে কারণে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন দলটির মূল পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি। সেই ক্ষোভ উগরেও দেন তিনি।

দিনের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে দারুণ একটি বাউন্সার করেছিলেন মুজারাবানি। তাসকিন সেটি ছেড়ে দিয়ে হাত ও পা দিয়ে নাচের মতো ভঙিমা করেন। নিজের মনোবল চাঙা করেন।

কিন্তু সেটি সহ্য হয়নি মুজারাবানির। তাসকিনের কাছে তেড়ে গেলেন কড়া চাহনি দিলেন। এর পর কি যেন বললেন। তাসকিনও ছাড় দেননি। সেয়ানে সেয়ানে লড়েছেন। ছয় ফুটের অনেক বেশি উচ্চতার মুজারাবানির চোখের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করলেন তিনি।

তাসকিন কেন মেজাজ হারিয়েছিলেন সে প্রশ্ন উঠেছে এরই মধ্যে। অনেকে আবার তাসকিনের প্রশংসাও করেছেন এমন প্রতিবাদ করায়।

খেলার স্কোর ছাপিয়েও তাসকিন-মুজারাবানির ঘটনাটি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

পরে তাসকিন পরিষ্কার করলেন যে, কেন তিনিও মুজারাবানির দিকে তেড়ে গেছেন ও চোখ রাঙানি দিয়েছেন।
তাসকিন জানিয়েছেন, মুজারাবানি পর পর দুবার গালি দিয়েছিল তাকে। কিন্তু তৃতীয়বার দেওয়ায় আর নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি।

দিনের খেলা শেষে বিসিবি কর্তৃক সরবরাহকৃত ভিডিওবার্তায় তাসকিন বলছেন,  ‘ওরা আমাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করছিল। বাউন্সার মারার চেষ্টা করছিল। ভালো জায়গায় বল করছিল। আমি ভালো সামলাচ্ছিলামও। বিরক্ত হয়ে বেশ কয়েকবার গালি দিয়েছে। তৃতীয়বার যখন গালি দিয়েছিল, তখন আমিও তেড়ে গিয়েছি। বলছিলাম— ‘আমাকে কেন গালি দিচ্ছ, বল দিয়ে পারলে কিছু কর?’ এটিই। আর কিছু না।’

Copyright © priyokagoj.com All Right Reserved.
Developed By Monoputo