জামালপুরে মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় নিজেদের ঘরে গতকাল শনিবার মা-মেয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে। তাঁদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

নিহত দুজন হলেন গোবিন্দপুর দারোয়ানপাড়া এলাকার মৃত আকমল চৌধুরীর স্ত্রী জয়ফল বেগম (৫৫) ও তাঁর মেয়ে স্বপ্না আক্তার (২৫)। জয়ফলের ছেলে জহুরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। 

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, জয়ফল বেগমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। দুই ছেলে ওমানপ্রবাসী। এক মেয়ে তাঁর স্বামীর বাড়িতে থাকেন। জয়ফল ও তাঁর স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে স্বপ্না আক্তার ঘরে আলাদা দুটি কক্ষে থাকতেন। ছেলে জহুরুল স্ত্রীকে নিয়ে একই বাড়িতে আলাদা ঘরে থাকতেন। দুই দিন আগে মা ও বোনের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ির উঠানে বেড়া দিয়ে জহুরুল তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি চলে যান। বাড়িতে আর কেউ ছিল না। ওমানপ্রবাসী মিস্টার দুই দিন ধরে ফোন করে তাঁর মা জয়ফলকে না পেয়ে গতকাল সন্ধ্যার দিকে মামা মানিককে খোঁজ নিতে বলেন।

মানিক বাড়িতে গিয়ে জয়ফলের ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করে ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের জানান। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রতিবেশীরা ওই ঘরের দরজা ভেঙে দুই কক্ষের বিছানায় গলা কাটা অবস্থায় মা-মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখেন।
 

খবর পেয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাম পুলিশ নিয়ে গতকাল রাতেই ওই বাড়িতে যান। সেখান থেকে জয়ফল ও তাঁর মেয়ে স্বপ্নার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুই দিন আগে বাড়ি থেকে চলে যাওয়া জয়ফলের ছেলে জহুরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো বঁটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।     

ওসি ময়নুল ইসলাম বলেন, ঘরের আলাদা কক্ষ থেকে মা-মেয়ের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের গলা কেটে হত্যা করা হতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে একটি বঁটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কখন, কে বা কারা তাঁদের হত্যা করেছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। জয়ফলের ছেলে জহুরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

Copyright © priyokagoj.com All Right Reserved.
Developed By Monoputo