নাটোরে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে মোট ২৯ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে

রংপুর অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের জনজীবন। গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে প্রকৃতি। শনিবার রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার ছিল ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ।

অব্যাহত ঘন কুয়াশাসহ শৈত্যপ্রবাহের কারণে রংপুরের বিভিন্ন এলাকায় উঠতি আলুক্ষেতে মড়ক বা পচন রোগের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে করে এলাকার কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। মহানগরীর উত্তম হাজিরহাট, কোবারু, বুড়িরহাট, গোয়ালু, অভিরাম, তামপাট, নব্দিগঞ্জ, সাহেবগঞ্জ, হারাগাছসহ বিভিন্ন এলাকায়া কৃষকরা আলু ক্ষেত রক্ষায় আক্রান্ত ক্ষেতে ছত্রাকনাশক স্প্রে করছেন আলুচাষিরা। এছাড়া বোরো বীজতলা নিয়েও কৃষকরা চিন্তিত।

এদিকে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন চরাঞ্চলে বসবাসকারী হাজার হাজার পরিবার শীতে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। রংপুরে রয়েছে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক শীতার্ত মানুষ। এদের কারোরই নেই প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র। ক’দিন ধরে এমন তাপমাত্রা বিরাজ করায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না মানুষজন। প্রচণ্ড শীতে মারা পড়ছে পালিত হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল।

অপরদিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূূত্রে জানা গেছে, শীতের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগের প্রকোপ। গত কয়েকদিনের তুলনায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, রংপুরে এ ধরনের তাপমাত্রা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে পারে। এবার একটু দেরিতে শীত পড়েছে

Copyright © priyokagoj.com All Right Reserved.
Developed By Monoputo