নতুন জাতের পিঁয়াজ চাষে দিনাজপুরে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে

উচ্চ ফলনশীল ও দ্বিগুন উৎপাদনে সফলতা পাওয়ায় দিনাজপুর জেলায় প্রথবারই পরীক্ষামূলক এন-৫৩ জাতের পিঁয়াজ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। এ জাতের পিঁয়াজ চাষ আরও বাড়বে বলে জানায় কৃষক ও কৃষি অফিস। 

এন-৫৩ জাতের পিঁয়াজ গ্রীষ্মকাল কিংবা শীতকালেও চাষ করে কৃষক লাভবান হতে পারবে। প্রথমবার চাষেই সফলতা পাওয়ায় কৃষকরা ঝুকছে এই চাষে। এরই মধ্যে এ জাতে পিঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এ জাতের পিঁয়াজ চাষ বাড়লে দেশে প্রতিবছরের পিঁয়াজ নিয়ে অস্থিরতা কমে যাবে। মসলা জাতীয় এই কৃষিপণ্যের সংকট নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি বিভাগ। এটি সফল হলে দেশে পিঁয়াজের সংকট অনেকটা কেটে যাবে বলে জানায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

কৃষি বিভাগ জানায়, প্রতিবছর বাংলাদেশে পিঁয়াজের চাহিদা ৩৫ লাখ টন। কিন্তু দেশে পিঁয়াজ উৎপাদিত হয় ২০ থেকে ২২ লাখ টন, যা চাহিদার ৫৭ শতাংশ। ফলে আমদানির ওপরই বাজারে পিঁয়াজের দাম ওঠানামা করে। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে পিঁয়াজের এমন সংকট কাটাতে এন-৫৩ নামে একটি উচ্চফলনশীল জাতের পিঁয়াজের চাষ শুরু করেছে কৃষি বিভাগ। 
 
রফিকুল ইসলামসহ পিঁয়াজ চাষীরা জানায়, অন্যান্য পিঁয়াজের তুলনায় এ জাতের পিঁয়াজের ফলন প্রায় দ্বিগুণ হবে। উচ্চ ফলনশীল এ জাতের পিঁয়াজ চাষে কৃষক যেমন লাভবান হবে তেমনি দেশে পিঁয়াজের ঘাটতি মোকাবিলা সহজ হবে। লাভবানের কারণে এ জাতের পিঁয়াজের চাষ দেখে অন্য কৃষকেরাও উৎসাহিত হচ্ছেন। আগামীতে এ জাতের পিঁয়াজ চাষ আরও বেড়ে যাবে বলে জানান তারা। 

দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মঞ্জুরুল হক জানান, জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে এন-৫৩ জাতের উচ্চফলনশীল এ পিঁয়াজ চাষ প্রথমবারের মতো হচ্ছে। এ জেলায় মোট ২ হাজার ২০০ বিঘা জমিতে এ জাতের পেঁয়াজ চাষ করা হচ্ছে। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ৭০-৮০ মণ পিঁয়াজ উৎপাদিত হবে। যা অন্যান্য পিঁয়াজের তুলনায় দ্বিগুণ। এতে কৃষকও লাভবান হবে। এরই মধ্যে এই পিঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এ জাতের পিঁয়াজ চাষ করতে জেলার ২২০০ কৃষককে সার, বীজসহ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং আগামীতে এ চাষও আরও বাড়বে বলে জানান তিনি। 

Copyright © priyokagoj.com All Right Reserved.
Developed By Monoputo