ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল দেখতে চান শোয়েব আখতার

জিম্বাবুয়ের কাছে পাকিস্তানের হারাটা অঘটনই ছিল। ক্রিকেটে এমন অপ্রত্যাশিত ফল হতেই পারে। তা না হলে ২০০৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফেভারিটদের পেছনে ফেলে কেনিয়া সেমিতে জায়গা করে নেয় কীভাবে? ক্রিকেটে এমন অনেক অঘটনের উদাহরণ দেওয়া যাবে। তারপরও নেদারল্যান্ডসের মতো দুর্বল দলের কাছে হেরে ফেভারিট দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনাল খেলতে পারবে না এ ভাবনা কারোর ছিল বলে মনে হয় না। সবাই ভেবেছিল গতকাল গ্রুপের শেষ ম্যাচে অনায়াসে ডাচদের হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করবে। অথচ এবার টি-২০ বিশ্বকাপে সবচেয়ে অঘটন ঘটাল নেদারল্যান্ডসই।

এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার হারে সবচেয়ে বড় সুবিধা পেয়েছে পাকিস্তান এবং তারা উঠে গেছে সেমিফাইনালে। অথচ সপ্তাহখানেক আগেও ভারত ও জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে বিদায়ের আশঙ্কায় ছিল বাবর আজমরা।

পাকিস্তানের ভাগ্যই শুধু বদলায়নি, তাদের সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আখতারেরও কথা পাল্টে গেছে। পাকিস্তান সেমিফাইনালে ওঠার পর ইউ-টার্ন নিয়েছেন তিনি। এর আগে শোয়েব বলেছিলেন, পাকিস্তান সুপার টুয়েলভেই বাদ পড়বে। আর ভারত সেমিফাইনালে হেরে দেশে ফেরার বিমান ধরবে। এখন তাকে বলতে শোনা গেলো, তিনি চান ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল হোক।

পাকিস্তান তার কথা ভুল প্রমাণ করায় খুশি শোয়েব, ‘তারা আমাকে ভুল প্রমাণ করেছে। সুপার টুয়েলভ থেকে বাদ পড়েনি তারা। নেদারল্যান্ডসকে ধন্যবাদ, আমরা তোমাদের কাছে কৃতজ্ঞ। দক্ষিণ আফ্রিকানদের বলছি, তোমরা দেখালে কীভাবে হাতের মুঠোয় থাকা টুর্নামেন্ট ছেড়ে দিতে হয়।’

শোয়েব বলেছেন, ‘ফাইনালে আবারও আমরা তোমাদের সঙ্গে দেখা করতে চাই, এখন এটা নির্ভর করছে ভারত কীভাবে খেলে। পাকিস্তানও কী করে দেখা যাক। ইংল্যান্ডের কাছে সেমিফাইনালে হেরে ভারতের ফেরা উচিত হবে না, একই সঙ্গে পরের ফ্লাইটে পাকিস্তানও ফিরে যেন না আসে।’

ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের অপেক্ষায় রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস, ‘আমি ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল দেখতে চাই এবং এর সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করবে ব্রডকাস্টররা ও আইসিসি।’

Copyright © priyokagoj.com All Right Reserved.
Developed By Monoputo