সাবেক ডাচ প্রধানমন্ত্রী স্ত্রীকে নিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেন

এক সঙ্গে ৭০ বছর কাটিয়ে দিলেন। কিন্তু তারপর আর বাঁচার ইচ্ছে হারিয়ে ফেলেন তারা। তাই দুইজন একসঙ্গে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর সিদ্ধান্ত নেন। জীবনে রাষ্ট্র ক্ষমতা থেকে শুরু করে সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন। তারপর কেনো তারা এমন সিদ্ধান্ত নিলেন।

জানা যায়, এ জীবনের থেকে মরণও ভালো! একইসাথে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন নেদারল্যান্ডসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্রিস ভান অঘট এবং তার স্ত্রী ইউজিনি। তাই ৭০ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতিও টানলেন একসাথে। হাতে হাত রেখে স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে বরণ করে।

গত সোমবার দ্রিস-ইউজিনি আইনি পথে নিষ্কৃতি মৃত্যুর (ইউথেনেশিয়া) পথ বেছে নিয়েছেন বলে জানা গেল প্রেমের দিবসে। দু’জনেরই বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। দীর্ঘ দিন ধরে তারা বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। দ্রিস একটি মানবাধিকার সংস্থার কর্ণধার ছিলেন। তাদেরই তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, কোনো ‘স্পেশাল ক্লিনিক’ নয়, গ্রামের বাড়িতেই নিষ্কৃতি মৃত্যুর পথ বেছেছেন দু’জনে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মৃত্যুর সময়ও পরস্পরের হাত ধরে রেখেছিলেন দ্রিস-ইউজিনি। একইসাথে বিষ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে তারা মৃত্যুবরণ করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন দ্রিস। ‘ক্রিশ্চান ডেমোক্র্যাটিক আপিল পার্টি’র প্রতিষ্ঠাতা নেতাও ছিলেন তিনি। নিষ্কৃতি-মৃত্যুর প্রবণতা ক্রমশই বাড়ছে নেদারল্যান্ডসে। গত বছর সরাকরি অনুমতি নিয়ে ২৯ যুগল স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন সে দেশে।

Copyright © priyokagoj.com All Right Reserved.
Developed By Monoputo