করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এই সময়টাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত আমরাও ব্যাপক সমস্যাগ্রস্হ। যদিও এই অবস্থা কারো কাম্য নয় তবু্ও পরিস্থিতির কারণে আমাদের সবাইকেই কমবেশি ঘরে থাকতে হচ্ছে।তবে অনেকে চাইলেও কিন্তু ঘরে অবস্থান করতে পারছেন না। পরিবার পরিজন ফেলে তাদেরকে নিয়মিত কাজে যোগদান করতে হচ্ছে। অন্তত সেদিক দিয়ে বিবেচনা করলে আমরা অনেক ভাগ্যবান যে, এই দূর্যোগের সময় আমরা পরিবারের পাশে থাকতে পারছি।
কর্মজীবনের ব্যস্ততার কারণে আমাদের জীবনে অবসর বলে আসলে তেমন কিছুই থাকেনা তবে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারনে সরকারি বেসরকারি অফিস আদালতের পাশাপাশি বন্ধ ছিলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।তাই,অন্তত পরিবারের সবাই মিলে সাথে থাকা সম্ভব হয়েছিলো বেশ কয়েক মাস।
যেকোন বিপদের সময় মন শান্ত রাখতে প্রার্থনা বা সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেকে সমর্পন করা খুব ভাল উপায়।যার যার ধর্ম অনুযায়ী প্রার্থনা করুন, এতে মন শান্ত থাকবে। এছাড়া আমরা অনেকেই আছি যারা শুদ্ধ ভাবে পবিত্র কুরআন পাঠ করতে পারিনা, তারা এই সময়টা কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে অনলাইনে কুরআন শিখে ফেলতে পারি।
এরপর আমরা অনেকেই পেশাগত জীবনে প্রবেশ করলেও কম্পিউটারের অনেক বিষয় এখনো আয়ত্ত করতে পারিনি। মাইক্রো সফট এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, ওয়ার্ডের কাজ কিংবা ইলাস্ট্রেটর এর কাজ জানা প্রফেশনাল লাইফে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই কাজগুলো আমরা আমাদের এই অবসর সময়ে শিখে ফেলতে পারি। এর জন্য আমাদের ঘরের বাইরে যাবার প্রয়োজন নেই। ইউটিউব দেখে শিখে ফেলতে পারি।
বা যারা এই কাজ গুলো জানি তারা পরিবারের অন্য সদস্যদেরকে শেখাতে পারি। তাতে করে সময়টা সঠিকভাবে কাজে লাগবে।
আমরা যারা ইংরেজিতে দূর্বল তারা এই সময়টাতে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জনের জন্য ছোটবেলার গ্রামারকে আরেকবার ঝালিয়ে নিতে পারি।এছাড়া আমরা ইংরেজি ভোকাবুলারি বাড়াতে এসময়টাকে কাজে লাগাতে পারি।
পাশাপাশি ভাল সময় কাটাতে বই পড়া, বাগান করা বা গান শোনা যেতে পারে। এছাড়া সন্তানদের সময় দেয়া, তাদের পড়াশোনাতে সহযোগিতা করা খুব ভাল উপায়।এসময়ে পরিবারের সকল সদস্যর উচিত একে অপরের মানসিক শক্তি বাড়াতে সহায়তা করা।
করোনা মোকাবেলায় বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করা এবং অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
লিখেছেন-
আছিয়া পারভীন আলী শম্পা
পুষ্টিবিদ, বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড