পাবনার মেয়ে উপমহাদেশের বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেনের দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দেখতে দেখতে কেটে গেল ১০টি বছর! মহানায়িকার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ তাঁর বাড়িতে স্থাপিত প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. নরেশ চন্দ্র মধু বলেন, ‘সুচিত্রা সেনকে নিয়ে আমাদের আবেগের কমতি নেই। সবার সহযোগিতায় আমরা তাঁর বাড়িটি উদ্ধার করতে পেরেছি। তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে সরকারি সহায়তায় প্রায় ২০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে সুচিত্রা সেন আজীবন নতুন প্রজন্ম ও বিশ্ববাসীর মনের মণিকোঠায় বেঁচে থাকবেন।’
পাবনার হিমসাগর লেনের পৈতৃক বাড়িতে ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল জন্ম নেন সুচিত্রা সেন। সেখানেই তাঁর শৈশব-কৈশোর কেটেছে। তাঁর আসল নাম রমা দাশগুপ্ত। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত পাবনা মিউনিসিপ্যালিটির স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদে চাকরি করতেন। মা ইন্দিরা দাশগুপ্ত ছিলেন গৃহিণী। দুই বোনের মধ্যে সুচিত্রা সেন ছিলেন বড়। কলকাতার ছেলে দিবানাথ সেনের সঙ্গে বিয়ে হয় সুচিত্রা সেনের।
বিয়ের আড়াই বছরের মাথায় ১৯৫২ সালে ‘শেষ কোথায়’ নামে বাংলা ছবিতে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। তবে ছবিটি মুক্তি পায়নি। এরপর ১৯৫৩ সালে তাঁর অভিনীত ছবি ‘সাত নম্বর কয়েদি’ মুক্তি পায়। ১৯৫৩ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত সুচিত্রা সেন বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেন। বাংলা ৫৬ ও ৭টি হিন্দি মিলিয়ে মোট ৬৩টি ছবিতে নায়িকা হয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটি হয়ে বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন তোলেন।