নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় পুলিশের গুলিতে এক বাংলাদেশি তরুণ (১৯) নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ওই তরুণ পুলিশ সদস্যদের দিকে এক জোড়া কাঁচি নিয়ে তেড়ে গেলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালায়।

গতকাল বুধবার কুইন্সের নিজেদের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে মানসিক যন্ত্রণায় ভোগা ওই তরুণ ৯১১ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চান। পরে তাঁর বাসায় যান পুলিশ সদস্যরা।

ঘটনাটি নিয়ে পুলিশি বর্ণনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বক্তব্য দিয়েছেন নিহত বাংলাদেশি তরুণের ভাই। তিনি বলেন, ঘটনার সময় তাঁদের মা ছেলেকে বাধা দিচ্ছিলেন। তখন পুলিশের গুলি করার মতো কোনো পরিস্থিতি ছিল না।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার কিছু পরই উইন রোজারিও নামের ওই তরুণকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বুধবার বেলা ১টা ৪৫মিনিটের দিকে ওজন পার্কের ১০৩ নম্বর স্ট্রিটে তাঁদের দ্বিতীয় তলার অ্যাপার্টমেন্টে ঘটনাটি ঘটে বলে জানায় পুলিশ।

নিহত উইন রোজারিওর বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও বলেন, ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন তাঁরা। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল উইনের।

পুলিশ কর্মকর্তা জন চেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মানসিক যন্ত্রণায় থাকা ওই তরুণের ব্যাপারে ৯১১ নম্বরে ফোনকল পেয়ে দুই পুলিশ সদস্য ওই বাসায় যান। সেখানে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ, বিশৃঙ্খলা ও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। পুলিশের ধারণা, রোজারিও নিজেই ওই নম্বরে কল করেছিলেন।

জন চেল বলেন, বাসায় গিয়ে পুলিশ সদস্যরা রোজারিওকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি একটি ড্রয়ার থেকে জোড়া কাঁচি বের করে পুলিশের দিকে আসেন। তখন দুই পুলিশ সদস্যই গুলি ছুড়ে তাঁকে বশে আনেন। এর আগে তাঁর মা তাঁকে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছিলেন।

ওই মুহূর্তে আত্মরক্ষার্থে পুলিশের গুলি ছোড়া ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না বলে দাবি করেন পুলিশ কর্মকর্তা চেল। তবে রোজারিওকে কতটি গুলি করা হয়, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। পরিবার অবশ্য বলেছে, তাঁকে ছয়টি গুলি করা হয়।
পুরো ঘটনার দৃশ্য পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে বলে জানান জন চেল। তবে তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।

ওই ঘটনা নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে রোজারিওর ছোট ভাই উশতো রোজারিও (১৭) পুলিশি ভাষ্যের ভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিয়েছে। সে বলেছে, গুলি ছোড়ার আগে পুরোটা সময় তার মা ভাইকে জাপটে ধরে রেখেছিলেন। এমনকি ভাইকে ধরা রাখা অবস্থায়ই গুলি ছোড়ে পুলিশ। এই গুলি ছোড়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না।

এ নিয়ে গত দুই মাসে নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হলেন।
নিহত উইন রোজারিওর বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও বলেন, ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন তাঁরা। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল উইনের।

সুত্রঃ নিউইয়র্ক টাইমস

Copyright © priyokagoj.com All Right Reserved.
Developed By Monoputo